আ'লীগ সরকারের আমলেই সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

আ'লীগ সরকারের আমলেই সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
............♣
'আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক ও সাংবাদিকদেরকে যেভাবে হয়রানী, অপমান, নির্যাতন করা হয়েছে, তা আর কোনো সরকারে আমলে হয়নি' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এসবকথা বলেন।
অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দল নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও সহায়ক সরকারের দাবি সমাবেরে আয়োজন করে ঢাকা মহানগর জাগপা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন তো সরকার আওয়ামী লীগ চালাচ্ছে না। সরকার চালাচ্ছে এখন পোশাকদারী লোকেরা, তারা আজকে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। যার ফলে রাজনৈতিক কোনো চিন্তাভাবনা আসছে না। বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘গত পরশু দিন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মামলার হাজিরা ছিল আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে বিশেষ আদালতে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখে মনে হয়, যে যুদ্ধ ক্ষেত্র। র‌্যাব, পুলিশ, আর্ম পুলিশ ব্যটালিয়ান, মটর সাইকেল, বন্দুক, জলকান, প্রিজন ভ্যান এমন ভাবে রাখা হয়, যেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টেরোরিষ্টকে (সন্ত্রাসী) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা কোনো ধরনের রাজনীতি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে এতটাই দেওলিয়া, রাজনীতিকে রাজনৈতিকভাবে না পেরে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অন্যায় ও মিথ্যা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। তারা গ্রাম্য মোড়লের মত আচরণ করছে।’ নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি গঠনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয়নি- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন দেশের স্বার্থে, সংঘাত এড়িয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি (রাষ্ট্রপতি) সাড়া দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা জন্যডেকেছিলেন। কিন্তু অন্যান্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকা উচিৎ ছিল। এবং তাদেরকে না ডেকে আপনি ( রাষ্ট্রপতি) গণতন্ত্রের যে বিষয়কে অবজ্ঞা করেছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে আপনার কাছে এটা আমরাই কোনো দিন আশা করিনি। কারণ আপনি শপথ নিয়েছেন, সম্পূর্ন ভাবে কোনো রাগ অনুরাগের বশবর্তী হয়েকোনো কাজ করবেন না, আপনি নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবেন। আপনি এখন কোনো রাজনৈকি দলের নেতা নন। সমগ্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। আমরা আশা করবো পরবর্তিতে আপনি এ বিষয়টিকে বিবেচনায় করবেন। এবং নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিকদলকে সময় থাকলে আহ্বান করবেন।’

Comments

Popular posts from this blog

দেশের ৩১টি জেলার ও ৭৮টি উপজেলায় বিআরটিসির বাস চলাচল করছে

গাইবান্ধা-১ থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেলেন ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

প্রান্তিক চাষীদের কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা