ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের বাস্তবায়ন কাজ ২০১৮সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী

ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের বাস্তবায়ন কাজ ২০১৮সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
.....♦
সোমবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদসদস্য সফুরা বেগমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে (পিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কর্তৃক ৬টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রস্তাবিত ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ৩টি প্যাকেজের আওতায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ওই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালের মধ্যে সমাপ্ত হবে। মন্ত্রী আরও জানান, জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর মহাসড়ক (ঢাকা বাইপাস) পিপিপি প্রকল্পের জন্য বর্তমানে বিনিয়োগকারী নির্বাচন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ২০১৭ সালের মধ্যেওই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে এবং ২০১৯ সালের মধ্যে সমাপ্ত হবে। এস এম মোস্তফা রশিদীর প্রশ্নোত্তরে জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য নিম্নমুখী হওয়ার কারণে বাংলাদেশের বাজারেও মূল্য কমানো হয়েছে। ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি ৩টাকা কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তঃজেলা রুটে বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩ পয়সা কমানো হয়েছে। হ্রাসকৃত হারে বাস ভাড়া আদায়ের জন্য নতুন ভাড়ার চার্ট সংশ্লিষ্ট সকলকে দেয়া হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম ও ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারী বাসগুলোর ভাড়া সিএনজি মূল্যের বিবেচনারনির্ধারিত থাকায় জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসের ক্ষেত্রে এই দুই মহানগরীতে বাস ভাড়া কমানো হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী।সংসদকে মন্ত্রী আরও জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে অতিরিক্ত সচিব(প্রশাসন) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি কাজকরছে। তাছাড়া বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪১টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানোর পাশাপাশি ৩৫৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়েছে। পুলিশ বিভাগের সকল মেট্রোপলিটন বিভাগ ও রেঞ্জ কর্তৃক একই সময়ে ১ হাজার ২১৩টি বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৩৭৫টি বাস রেকারিং করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, বিআরটিসির বাসবহরে মোট ১ হাজার ৫৩৮টি বাস রয়েছে। তার মধ্যে ৯৯৪টি বাস চলাচল উপযোগী। বর্তমানে দেশের ৩১টি জেলার ৭৮টি উপজেলায় বিআরটিসির বাস চলাচল করছে। নতুন বাস সংগ্রহের পর চাহিদার নিরিখে পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট উপজেলায় বিআরটিসি বাস চালু করা হবে।

Comments

Popular posts from this blog

দেশের ৩১টি জেলার ও ৭৮টি উপজেলায় বিআরটিসির বাস চলাচল করছে

গাইবান্ধা-১ থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেলেন ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

প্রান্তিক চাষীদের কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা