চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) কৃষি খাতে নয় হাজার ৯৯৩ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) কৃষি খাতে নয় হাজার ৯৯৩ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো
.............♣
আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল আট হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। এতে এ সময়ে কৃষি খাতে এক হাজার ২৩৭ কোটি টাকা বেশি বিতরণ হয়েছে।
আর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫৬ দশমিক ৬০ শতাংশ বিতরণ হয়েছে। আমন মৌসুমে কৃষক থেকে ঋণের চাহিদা বেশি হওয়ায় সার্বিক কৃষিখাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে। বোরো মৌসুম শুরু হওয়ায় কৃষিঋণ বিতরণ আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষি খাতে মোট ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় ৮টি ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত নয় হাজার ২৯০ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানার এসব ব্যাংক চার হাজার ৬০৭ কোটি টাকা বিতরণ কয়েছে। যা পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রার ৪৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য নির্ধারিত আট হাজার ২৬০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলো নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সাত হাজার ৮২৭ কোটি টাকা ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য ৪৩৩ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বেসরকারী ও বিদেশি ব্যাংকগুলো এ সময়ে পাঁচ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৬৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় কৃষি খাতে মালিকানাধীন ৬টি বাণিজ্যিক, ২ টি বিশেষায়িত ও ৩৮টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ও ৯টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ব্যাংকগুলোর বিতরণ করে ১৭ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। অর্থাত্ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার ২৪৬ কোটি টাকা বেশি  কৃষি ঋণ বিতরণ হয়েছে। বিতরণকৃত এ ঋণ লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ৮ এবং পূর্ববর্তীবছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে দশ শতাংশ বেশি ঋণ বিতরণ হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে বিভিন্ন কারণে ব্যাংকগুলো অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারছে না। আর সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতে সুদহার কমে আসায় ব্যাংকগুলো কৃষিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে এ খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোর তত্পরতা এবং ব্যাংক গুলোর উদ্যোগের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। অগ্রাধিকার খাত হিসেবে এ খাতে ঋণ বিতরণ বাড়াতে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আর ব্যাংকগুলোর দেয়া লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ না হলে জরিমানারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব কারণেই কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। যার মধ্যে সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএল কৃষিঋণ বিতরণে বেশি পিছিয়ে রয়েছে। এছাড়াও নতুন ব্যাংকগুলোও কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণে পিছিয়ে পড়ছে।

Comments

Popular posts from this blog

দেশের ৩১টি জেলার ও ৭৮টি উপজেলায় বিআরটিসির বাস চলাচল করছে

গাইবান্ধা-১ থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেলেন ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

প্রান্তিক চাষীদের কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা