গতবছর বাণিজ্য মেলায় রপ্তানি আদেশ ছিল ২৩৫ কোটি১৭ লাখ টাকা

গতবছর বাণিজ্য মেলায় রপ্তানি আদেশ ছিল ২৩৫ কোটি১৭ লাখ টাকা
..............♣
অপরদিকে মেলায় প্রত্যক্ষ বিক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। গতকাল বিকেলে মেলার ২২তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই সভাপতি মাতলুব আহমেদ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বেগম মাফরুহা সুলতানা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ী ওউদ্যোক্তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা। আর তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রী বলেন, উদ্ভাবনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। আমরা শতভাগ মেধার ব্যবহার করতে পারলে শিগগিরই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো। বাণিজ্য মেলা সেই উদ্ভাবনী শক্তিকে উত্সাহজোগাবে। ভবিষ্যতে এ মেলা আরও বড় পরিসরে হবে।
হেদায়েতুল্লা আল মামুন বলেন, মাসব্যাপী মেলা সফল করার জন্য ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। এক্ষেত্রে ইপিবি প্রতিবছর বেশ পরিশ্রম করে। মেলা আয়োজনে আমরা সফল বলেই মানুষ যানজট অপেক্ষা করে মেলায় আসে। তাই মেলাও প্রাণবন্ত হয়েছে। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাতলুব আহমাদ বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশে সবার সহযোগিতায় বিদায় হলো মেলা। বাংলাদেশ আজ সেই বাংলাদেশ নয়। এখন সময় এসেছে, বাইরে গেলে আমাদের সাদরে আমন্ত্রণ জানাবে। তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বেশি আয় হলে ভ্যাটও বেশি দেবে। ব্যবসায়ীরা বিশ্বে অনেক সুযোগ করে দিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কল্যাণেই এখন মালয়েশিয়ায় ভিসা ফ্রি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বেগম মাফরুহা সুলতানা বলেন, এবার রপ্তানি অর্ডার পাওয়া গেছে ২৪৩ দশমিক ৪৪ কোটি টাকার। পণ্য বিক্রি হয়েছে ১১৩ দশমিক ৫৩ কোটি টাকার। গতবারের চেয়ে এবার মেলায় ভালো বিক্রি হয়েছে। মেলায় কোনো রকম ঝামেলা হয়নি। সুষ্ঠুভাবে মেলা শেষ হয়েছে। উল্লেখ্য, বাণিজ্য মেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ২০১০ সালে রপ্তানি আদেশ পেয়েছিল ২২ কোটি ৮৬ লাখ, ২০১১ সালে ২৫ কোটি, ২০১২ সালে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ, ২০১৩ সালে ১৫৭ কোটি, ২০১৪ সালে ৮০ কোটি টাকা, ২০১৫ সালে ৮৫ কোটি টাকা। এছাড়া ২০১৫ সালে ২০তম বাণিজ্য মেলায় সরাসরি পণ্য বিক্রি হয়েছিল ৫০ কোটি টাকার, ২০১৬ সালে পণ্য বিক্রি দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় ১২১ কোটি টাকায়।এবারের মেলায় নতুন সাতটিসহ ২১টি দেশ অংশ নিয়েছে। মেলায় এবার ১৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫৮০টি প্যাভিলিয়ন ছিল। এর মধ্যে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে ৪৮টি। এছাড়া মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের স্টল আছে ৩৮টি।

Comments

Popular posts from this blog

দেশের ৩১টি জেলার ও ৭৮টি উপজেলায় বিআরটিসির বাস চলাচল করছে

গাইবান্ধা-১ থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেলেন ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

প্রান্তিক চাষীদের কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা