শুভ জন্মদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

শুভ জন্মদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
________
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭১ তম জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত বছর ২০১৬ তে বিএনপির মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ছিলেন। ২০১১ সালের মার্চে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করলে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন। টানা পাঁচ বছর তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম এর আগে কৃষি, পর্যটন ও বেসরকারি বিমান চলাচলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) সদস্য ছিলেন এবং সংগঠনটির এস এম হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময়ে তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। ছাত্রজীবনের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও মির্জা ফখরুলের ইসলাম আলগীরের কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতায়। একাধিক সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। ১৯৮০’র দশকে তিনি মূলধারার রাজনীতিতে আসেন। এর আগে তিনি ১৯৭০’র দশকের শেষে তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী এস এ বারির ব্যাক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই পদে তিনি ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বহাল ছিলেন।  ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার পর শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু মির্জা ফখরুলের ইসলাম। পরে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। ১৯৭০ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে শিক্ষকতার জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। তাতে উত্তীর্ণ হন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, এমন ধারণা করেছিলেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতে শিক্ষকতাকেই উপযুক্ত পেশা হিসেবে বেছে নেন। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে শেষ পর্যন্ত ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নির্বাচনের মাধ্যমে ফিরে আসেন রাজনীতিতে। তার পরের বছরই তিনি যোগ দেন বিএনপিতে।
ব্যক্তিগত জীবনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবাহিত এবং দুই মেয়ের জনক। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। তার বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েপড়ালেখা শেষে সেখানেই শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবেকর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েপড়ালেখা করেছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।

Comments

Popular posts from this blog

দেশের ৩১টি জেলার ও ৭৮টি উপজেলায় বিআরটিসির বাস চলাচল করছে

গাইবান্ধা-১ থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেলেন ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

প্রান্তিক চাষীদের কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা