আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’ অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’ অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল এই সংলাপে অংশ নেন।

বঙ্গভবনের দরবার হলে দেড় ঘণ্টার এই সংলাপের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের সামনে আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আওয়ামী লীগের প্রস্তাবে বলা হয়, “সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমানে বিরাজমান সকল বিধিবিধানের সাথে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’ এর প্রবর্তন করা হোক।”

পরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ই-ভোটিং বলতে তারা ইভিএম ব্যদবহার করে ভোটকেই বুঝিয়েছেন।

ই-ভোটিং হল ভোট গ্রহণ ও দ্রুত গণনার ইলেকট্রনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ছাপানো ব্যািলট পেপার, বাক্স বা সিল লাগে না। ভোটার একটি যন্ত্রে বোতাম চেপেই তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এবং গণনা হয় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। ওই যন্ত্রকে বলা হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন, সংক্ষেপে ইভিএম।

বাংলাদেশের ভোটারদের সঙ্গে ইভিএমের প্রথম পরিচয় ঘটে ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যপবহার করা হয়।

এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিগত নির্বাচন কমিশন সাত বছর আগে যখন এ পদ্ধতি চালুর উদ্যো গ নেয়, তখন সন্দেহ থেকে এর বিরোধিতা করেছিল বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দল।

তবে চট্টগ্রামের সাফল্যের পর নায়ায়ণগঞ্জের কয়েকটি ওয়ার্ডে, নরসিংদী পৌরসভা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পুরো নির্বাচন ইভিএমে করা হয়।

২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদায়ের আগে সংসদ নির্বাচনের জন্য ইভিএমের প্রস্তুতিও রেখে গিয়েছিল শামসুল হুদার কমিশন। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজশাহী ও রংপুরে ছোট পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হয়।

সংলাপের পর আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম বলেন, “বর্তমান প্রযুক্তিতে ই-ভোটিং ব্যবস্থা চালুর সামর্থ্য নির্বাচন কমিশনের আছে। ই-ভোটিং ব্যবস্থা আগামীতে চালু করা যেতে পারে। আর এ জন্যই আমরা এই প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে রেখেছি।”

Comments

Popular posts from this blog

দেশের ৩১টি জেলার ও ৭৮টি উপজেলায় বিআরটিসির বাস চলাচল করছে

গাইবান্ধা-১ থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেলেন ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

প্রান্তিক চাষীদের কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা