সিরাজগঞ্জের ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ 

সোমবার সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম এ দণ্ডাদেশ দেন।
যাবজ্জীবন ছাড়াও প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছয় আসামি উপস্থিত ছিলেন।
হত্যার শিকার খুশি খাতুন শাহজাদপুরের কায়েমপুর গ্রামের সাহেব আলীর মেয়ে। দণ্ডিত আসামিরা সবাই পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন মশিপুর গ্রামের আবদুল হাকিম (৪৬), হাচেন আলী (৩৮), লোকমান হোসেন (৫৩), হাসান আলী (৩৩), কায়েমপুর গ্রামের মো. রানা (৩৩), নবির হোসেন (৩৬) ও বাতিয়ার পাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৩)। এঁদের মধ্যে রফিকুল পলাতক।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আনোয়ার পারভেজ সাত আসামির শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিহত খুশি খাতুন ২০১০ সালের ১৬ জুলাই বিকেলে আবদুল হাকিমের (যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত) বাড়িতে তাঁর মেয়ে আঁখি খাতুনের (৯) সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন বিকেলে কায়েমপুর গ্রামের একটি পাটখেতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই খুশির মা সাগরিকা খাতুন আবদুল হাকিমকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এঁদের মধ্যে নবির হোসেন নামের এক আসামি কারাগারে মারা যান।

Comments

Popular posts from this blog

গাইবান্ধা-১ থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেলেন ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

শিক্ষা খাতে সাফল্য ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ৮ বছর

প্রান্তিক চাষীদের কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা