সাব্বির রহমান রুম্মন। তার ব্যাটে ভর করে ভারতের বিপক্ষে লড়াই করছে বাংলাদেশ দল
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৬.৪ ওভারের খেলা শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান। দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন সাব্বির রহমান।
৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলকে পথ দেখান সাব্বির। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে ৬৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন রুম্মন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নিয়েছেন তারকা এ ব্যাটসম্যান।
উদ্বোধনীতে ২৭ রান করেন তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার। এই জুটিকে আর সামনে বাড়াতে দেননি ভারতীয় বোলাররা। এরপর ৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল।
৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। লিটন কুমারের পর আউট তামিম ইকবালও। ২৭ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরানোর আগেই সাজঘরে ফিরে গেছেন সৌম্য সরকারও।
প্রথম সারির তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরুতেই চাপে পড়েছেন টাইগাররা।
ওয়াশিংটন সুন্দরকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বল শূন্যে তুলে দেন লিটন। ৯ বলে ১১ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর কোনো রান যোগ করার আগেই ফেরেন তামিম ইকবাল। উনাদখততে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি রোতে শারদুল ঠাকুরের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হন তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ বলে ১ চারের মারে ১৫ রান করেন বাংলাদেশ সেরা এই ওপেনার। এরপর মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে শেখর ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার।
টসে জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে জয় পেতে হলে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং এই তিন বিভাগে জ্বলে উঠতে হবে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলকে।
রোবার সন্ধ্যায় কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের খেলাটি শুরু হয়। গত শুক্রবার অবিশ্বাস্য এক জয়ে স্বাগতিক শ্রীলংকাকে হারিয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে উঠে যায় বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান রুম্মন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও নাজমুল ইসলাম অপু।
ভারত দল: রোহিত শর্মা, শেখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, সুরেশ রায়না, মনস পান্ডিয়া, দিনেশ কার্তিক, ওয়াশিংটন সুন্দর, শারদুল ঠাকুর, যুজবেন্দ্র চাহাল ও যাদব উনাদখত।
Comments
Post a Comment