Posts

Showing posts from November, 2017

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ক্যাপটিভসহ ১৫ হাজার ৮২১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের গত মেয়াদ অর্থাৎ ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২০১৭ সালের অক্টোবর মোট ৯ হাজার ২৫৪ মেগাওয়াট (বিদ্যুৎ আমদানিসহ) বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরই বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পরিকল্পনার আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ সুবিধা নিশ্চিত করতে উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কার্যক্রম চলছে। শেখ হাসিনা বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ২০০১ অক্টোবর থেকে ২০০৬ অক্টোবরে মোট ১ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযোজিত হয়েছে, যা মূলত ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগের ফসল। প্রকৃতপক্ষে ওই সময়ে দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েনি বরং কমেছে। তিনি বলেন, আগামীতে আরও বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মোট ১২ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতায় ৩৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। শেখ হাসিনা বলেন, মোট ৭ হাজার ৩৭৪ মেগাওয়াট ক্ষমতায় ৪১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। তিনি বলেন, মোট ৯ হাজার ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। ভারত থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়াও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি পরমাণু শক্তি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রাথমিক কার্যক্রম এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে।

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর সরকার প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেঃ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু --------- সংসদে আজ সরকারি দলের সদস্য একেএম শামীম ওসমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় তাঁর জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। জন্মশতবার্ষিকীর আগেই এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান। সরকারি দলের সদস্য হোসনেয়ারা লুৎফা ডালিয়ার অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে বিটিভির স্বতন্ত্র সম্প্রচার কেন্দ্র চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে একটি স্বতন্ত্র সম্প্রচার কেন্দ্র রয়েছে। ২০১৮ সালের শুরুতে চীন সরকারের সহায়তায় আরো ৬টি বিভিাগীয় শহরে স্বতন্ত্র সম্প্রচার কেন্দ্র চালু করা হবে। সরকারি দলের সদস্য মাহবুব আলীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় বছরে ৬ থেকে ৮টি চলচ্চিত্র নির্মাণে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণেও অনুদান প্রদান করা হয়। তবে তা শিল্পমান সম্পন্ন হতে হবে।

Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নতুন স্লোগান ---------- থাকবো নাকো পিছিয়ে নৌকায় ভোট দিয়ে যাব এগিয়ে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে টি-শার্ট রপ্তানিতে শীর্ষে বাংলাদেশ - ২০১৬ সালে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৪০.৮১ শতাংশ - ২০১৬ সালে তুরস্কের রপ্তানির পরিমাণ ২৬ শতাংশ - ২০১৬ সালে চীনের রপ্তানির পরিমাণ ১৬ শতাংশ

Image

এক হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাস বরিশাল স্থাপন’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক --------- উপকূলীয় এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানে বরিশালে নতুন সেনানিবাস স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে এক হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাস বরিশাল স্থাপন’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় নতুন এই সেনানিবাস স্থাপন প্রকল্পসহ মোট দশটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৩৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে তিন হাজার ৩১৮ কোটি ৩৯ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। একনেক সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি জেলায় বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটলে ২০০ কিলোমিটার দূরের যশোর সেনানিবাসের সহায়তা নিতে হয়। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে সরকারের বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় দক্ষিণে একটি সেনানিবাস গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেনানিবাসটি মূলত বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার মধ্যে পায়রা নদীসংলগ্ন এলাকায় লেবুখালীতে পড়ছে। দুর্যোগ মোকাবেলার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এই প্রকল্পে বড় উদ্দেশ্য। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯টি ডিভিশনের আওতায় দেশে এখন ৩০টি সেনানিবাস রয়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ উপকূলীয় এলাকা বরিশাল ও পটুয়াখালীতে সেনানিবাস নেই। নতুন এই সেনানিবাসের মাধ্যমে সরকার ঘোষিত ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর আওতায় আন্তর্জাতিক মানের সেনাবাহিনী গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রকল্পের বিবরণী থেকে জানা যায়, প্রকল্প এলাকাটি চরাঞ্চল হওয়ায় সেখানে জনবসতি গড়ে ওঠেনি। ফলে ঘরবাড়ি কিংবা স্থাপনার জন্য কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের প্রয়োজন পড়বে না। প্রস্তাবিত সেনানিবাসে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে প্রায় ১৭ হাজার। প্রকল্প ব্যয়ের পুরো খরচ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।

Image